মঙ্গলবার, ডিসেম্বর ২৩, ২০২৫
Single Page Top Banner

গন্তব্য অবৈধপথে মালয়েশিয়া যাত্রা  

গভীর বঙ্গোপসাগর থেকে রোহিঙ্গাসহ ২১৪ জন উদ্ধার

জসিম সিদ্দিকী

সমুদ্রপথে মালয়েশিয়া যাত্রাকালে কক্সবাজারের টেকনাফের সেন্টমার্টিন সংলগ্ন গভীর বঙ্গোপসাগর থেকে শিশুসহ ২১৪ রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করা হয়েছে। বঙ্গোপসাগরে টহলরত বাংলাদেশ নৌবাহিনী জাহাজ ‘বানৌজা দুর্জয় মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) বিকালে সেন্টমার্টিনের অদূরে ৪৪ নটিক্যাল মাইল দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থানরত গভীর সমুদ্র থেকে তাদেরকে উদ্ধার করা হয়। এসময় এফভি কুলসুমা নামক একটি মাছ ধরার নৌকাও জব্দ করা হয়। যে নৌকা দিয়ে তারা মালয়েশিয়া যাচ্ছিলো। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে উদ্ধারকৃতরা জানায়, তারা সকলেই মালয়েশিয়ায় অবৈধভাবে প্রবেশের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে।

নৌবাহিনী সূত্রে জানাগেছে, সেন্টমার্টিন্স থেকে ৪৪ নটিক্যাল মাইল দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থানরত একটি মাছ ধরার নৌকার সন্দেহজনক গতিবিধি লক্ষ করে বাংলাদেশ নৌবাহিনী জাহাজ ‘বানৌজা দুর্জয়’। তাৎক্ষণিকভাবে নৌবাহিনী জাহাজ মাছ ধরার নৌকা ‘এফভি কুলসুমা’র নিকট পৌঁছায় এবং এর গতিপথ রোধ করে। এ সময়ে নৌকাটিতে তল্লাশি চালিয়ে ২১৪ জন যাত্রীকে আটক করা হয়। যাদের মধ্যে ১১৮ জন পুরুষ, ৬৮ জন নারী এবং ২৮ জন শিশু রয়েছে। উদ্ধারকৃতদের মধ্যে ৪০জন বাংলাদেশী নাগরিক রয়েছে।

অবশিষ্ট সকলেই মায়ানমারের বাস্তুচ্যুত নাগরিক। ওই নৌকাটি ৮ এপ্রিল মধ্যরাত ২টায় কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার শাপলাপুর এলাকা থেকে মালয়েশিয়ার উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে আটককৃত মাছ ধরার নৌকা ও মায়ানমারের বাস্তুচ্যুত নাগরিকদের বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড স্টেশন সেন্টমার্টিন এর নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। নৌবাহিনীর একটি সূত্র তথ্যগুলো কক্সবাজার কন্ঠকে নিশ্চিত করেছেন।

নাম প্রকাশ না করার শতে জনৈক নৌ কর্মকর্তা জানান, নৌকাটি নূন্যতম জীবনরক্ষাকারী সরঞ্জাম, পর্যাপ্ত খাদ্য, পানি ও সুরক্ষা ব্যবস্থা ব্যতীত যাত্রা শুরু করে যা গভীর সমুদ্রে মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি করতে পারতো। নৌবাহিনীর তাৎক্ষণিক ও কার্যকর পদক্ষেপে এ বিপর্যয় প্রতিহত করা সম্ভব হয়েছে। বাংলাদেশ নৌবাহিনী দেশের জলসীমার নিরাপত্তা, সমুদ্রপথে চোরা চালানরোধ, অবৈধ অনুপ্রবেশসহ যেকোনো অপরাধমূলক কার্যক্রম প্রতিরোধে অঙ্গীকারবদ্ধ।

- Advertisement -spot_img
  • পঠিত
  • সর্বশেষ

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত